মাজার জিয়ারতে প্রচারণার শুরু
কাউকে গ্রীণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি: অ্যাড. জামান
নিউজ ডেস্ক
হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করলেন সিলেট-৪ আসনে সংসদ সদস্য পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জুম্মার নামাজের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে ওলিকূল শিরোমনি হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষ সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রীণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। প্রার্থীরাতো তাঁদের আগাম কিছু সৌজন্য বিনিময় আছে। কিন্তু কাউকে প্রত্যক্ষ বলা পরোক্ষ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। যখন দেওয়া হবে, তখন অবশ্যই জানবেন, সেটা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দেওয়া হবো। এখন যা হচ্ছে, এগুলো ‘ফেব্রিকেটেড নিউজ’।
তিনি আরও বলেন, আজকে পবিত্র জুমার দিনে আমরা হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে আসি। কারণ হযরত শাহজালাল (রহ.) আমাদের আধ্যাত্মিক পিতা।
অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালে শ্রদ্ধাভাজন নেতা জনাব দিলদার হোসেন সেলিমের সাথে আমিও নমিনেটেড হয়েছিলাম। আমি যখন স্বেচ্ছায় দলের পদে থেকে সরে দাঁড়াই ২০০১ সালে। আপনারা সাংবাদিক মহল জানেন, সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের বিপ্লবে আমি আর আমার সহযোদ্ধারা এই রাজপথে আমরা রক্ত ঝডরিয়েছি,আহত হয়েছি। আমাদের অনেক সহযোদ্ধারা আহত হয়েছেন। আমরা তা প্রতিহত করেছি। ভবিষ্যৎ তো আল্লাহর হাতে, আল্লাহ যদি তৌফিক দান করেন আমাদের একটি সুপ্ত ইচ্ছা আছে- আমরা যেহেতু গত ৩০ বছর এই জৈন্তাপুর, গোয়ানঘাট, কোম্পানীগঞ্জে আমাদের খেদমত আছে, কাজেই আমরা চেষ্টা করব সামনে যদি এখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আমরা প্রত্যাশা করি সেই নির্বাচনে আমরা যেন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারি। নমিনেশনতো অবশ্যই আমি দলের কাছে চাইবো। দল যদি সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মনে করে আমাকে দেয়, তাহলে দেবে। আর যদি আমাকে না দিয়ে যাকে নমিনেশন দিবে, তিনিই নির্বাচন করবেন। দলের প্রতি আমার অবিচল আস্থা আছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান আরও বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে একটা বার্তা দিতে চাই, আপনারা প্রতিটি আসনে গিয়ে ইনভেস্টিগেশন করেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় যান গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, সেখানকার মানুষ কি চায়। মানুষ যদি চায়, তাহলে অবশ্যই ইনশাল্লাহ ইলেকশন করবো। কেননা, আমার বেশিরভাগ সময় কেটেছে সিলেট-৪ আসনের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সাথে। আমি এখন আইন পেশায় আছি। এখনো ওই অঞ্চলের মানুষের সাথে আমার আত্মার বন্ধন রয়েছে। আমি যখন ব্যবসা-বাণিজ্য করেছি, তখন থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমার যারা সহকর্মী, সহযোগীরা আছেন, তারা বেশিরভাগই ওই পূর্বাঞ্চলের মানুষ। স্বাভাবিক ওই অঞ্চলের সাথে আমার নাড়ির টান আছে এবং মানুষ চায় আমি যেন ওই অঞ্চলের মানুষের ভালোবাসায় তাদের খেদমতে নিবেদিত থাকতে পারি।
অ্যাডভোকেট জামান বলেন, আমি পূর্বাঞ্চলের মানুষদেরকে আপনাদের মাধ্যমে সালাম পেশ করছি। পূর্বাঞ্চলের জনসাধারণকে বলবো আপনারা অনেককে নির্বাচিত করেছেন, দেখেন সীমান্তবর্তী অঞ্চল, তিনটা থানায় এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সমৃদ্ধ অঞ্চল, যেখানে খনিজ সম্পদে ভরপুর, সেখানে একটা ভাল মানের হাসপাতালও নেই। একটা ভালো মানের কলেজ নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ওই অঞ্চলের একজন মহিলার প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য শহরে আসতে হয়। আজ পর্যন্ত ৫০ বছরেও একটা হসপিটাল নির্মাণ হয়নি। এই জনপদের রাস্তাঘাট দেখেন, এই পূর্বাঞ্চলের মানুষ অনেককেই প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একজন কর্মঠ মানুষের প্রয়োজন। দল আমাকে সুযোগ দিলে নিজেকে সীমান্ত জনপদের তিন উপজেলার মানুষের খাদেম হিসেবে নিয়োজিত রাখবো।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন-পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যদি দেশের সার্বভৌমত্বের কোন ধরনের আঘাত আসে, তাহলে আমরা তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করবো। আমরা মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করেছি, আল্লাহ যেন আমাদেরকে তা প্রতিহত করার শক্তি দেন।
Leave a Reply