টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের শো ষ ণ করা হত ! স্বাক্ষী বেলার কাশমীর রেজা ! যা নি*ষি*দ্ধ করল মন্ত্রণালয়
ডেস্ক রিপোট
দেশের জীববৈচিত্র্য ও জলজ প্রাণের অন্যতম আশ্রয়স্থল টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরে এবার কঠোর সুরক্ষা আদেশ জারি করেছে সরকার। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, শব্দ দূষণ, অবৈধ বালু উত্তোলন ও জলজ বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে এই আদেশ কার্যকর হবে অবিলম্বে। এখন থেকে এই দুই হাওরে হাউসবোটে বা নৌযানে উচ্চস্বরে গান-বাজনা বাজানো এবং পার্টি আয়োজন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩-এর ক্ষমতাবলে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওর সুরক্ষা আদেশ’ জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম সীমিত রাখা হবে। এর আওতায় হাওরের অভয়াশ্রম বা সংবেদনশীল এলাকায় পর্যটক প্রবেশে বিধিনিষেধ, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ জাল বা বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে মাছ ধরা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া, ১০০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের নৌযান চলাচল করা যাবে না, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পর্যটক পরিবহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে এবং শিক্ষা সফর বা বিদেশি পর্যটক পরিবহনের জন্য জেলা প্রশাসনের পূর্বানুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সুরক্ষা আদেশ লঙ্ঘন করলে তা বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওর সুরক্ষা আদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যা থাকছে। সেগুলো হলো- পাখি ও পরিযায়ী পাখি শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাওরের জলজ বন বা গাছপালা কেটে ঘর নির্মাণ বা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী ইঞ্জিন বা জেনারেটর ব্যবহার করা যাবে না। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন নিষিদ্ধ। বালু, পাথর বা মাটি উত্তোলন সরকারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। হাওরে কোনো বর্জ্য ফেলা বা পানির প্রবাহে বাধা দেওয়া যাবে না।
এই আদেশের মাধ্যমে টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরের নাজুক পরিবেশ সংরক্ষণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply