1. admin@dailybdfreepress.com : admin :
November 18, 2025, 6:15 am

৪৪ মাস পর জয়ের সেঞ্চুরি

  • Update Time : বুধবার, নভেম্বর ১২, ২০২৫
  • 24 Time View

৪৪ মাস পর জয়ের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক

 

২০২২ সালের মার্চে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করার সেঞ্চুরির ৪৪ মাস বছর আবারও সেঞ্চুরি পেলন মাহমুদুল হাসান জয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জয়। জর্ডান নিলের লাফিয়ে ওঠা বল কাট করে গালি অঞ্চল থেকে বল সীমানা অতিক্রম করে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন তিনি। ১৯০ বলে করেন এ সেঞ্চুরি।

জয়ের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংস ছিল ১৩৭ রানের। ৩২৬ বলের সে ইনিংসে ছিল ১৫ চার ও ২ ছক্কা।

এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ তিন টেস্ট খেললেও সুযোগ মেলেনি জয়ের। সেই সিলেটে সাড়ে ৬ মাস পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ফেরেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে আজ দ্বিতীয় দিনে খেলতে নামে আয়ারল্যান্ড। সফরকারীদের নামের পাশে তখন ৯০ ওভার। দিনের প্রথম ওভার বোলিংয়ে আসা হাসানকে দুটি চার মেরেছেন ব্যারি ম্যাকার্থি। তবে আক্রমণাত্মক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও পরের ৮ বলের মধ্যে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আইরিশরা। ৯২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাথু হামফ্রিজকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তাইজুল ইসলাম। সেই ওভারে ক্রেগ ইয়াং একটা ছক্কা মেরেছেন। যা ছিল আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের শেষ বাউন্ডারি। এরপর ৯৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকার্থিকে (৩১) বোল্ড করে সফরকারীদের ইনিংসের ইতি টানেন হাসান মাহমুদ।

৯২.২ ওভারে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরই ব্যাটিংয়ে নেমে রয়েসয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান করে স্বাগতিকেরা। এরপর থেকেই আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন সাদমান ও জয়। দুই ক্রিকেটারেরই সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও সাদমান সেটা হাতছাড়া করেছেন। ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে সাদমানকে ফিরিয়ে সাদমান-জয়ের ১৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তিনি।

সাদমান সেঞ্চুরি করে টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির তৃতীয় উদাহরণ হয়ে থাকত। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিমের ২০৬ রানের সুবাদে বাংলাদেশ জয়ের সমান ড্র করেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই ইনিংসেই ইমরুল কায়েস করেছিলেন ১৫০ রান। এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিম ১০৯ ও ইমরুল ১৩০ রান করেছিলেন।

দ্বিতীয় দিন শেষে ৮৫ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৩৮ রান। জয় ১৬৯ ও মমিনুল ৮০ রানে অপরাজিত থেকে কাল তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Effective News
Theme Customized By Positiveit.us