সিলেটজুড়ে ধ*র-পাকড়, উ*দ্বেগ উ ৎ ক ন্ঠা
অনলাইন ডেস্ক
সিলেটজুড়ে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। জনমনে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। কেউ কেউ আবার শঙ্কিতও।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই ধর-পাকড়। এই দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম স্থগিত হওয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এই ঘোষণার পরপরই সারা দেশেরন্যায় সিলেটেও নাশকতার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমুহের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলছে ব্যাপক ধর-পাকড়।
গত কয়েকদিন ধরে সিলেট মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী ঘরানার অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার চলছে। গত দুইদিনে কেবল সিলেটভিউতে অন্তত ২০ জন আওয়ামী ঘরানার নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
এরমধ্যে থেমে নেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও। তারা বিভিন্ন স্থানে মিছিল বা মশাল মিছিল করার চেষ্টা করছে। যদিও সিলেটে তারা এখন পর্যন্ত সফল হতে পেরেছেন, তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এরমধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুরে মশাল মিছিল বের করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই কর্মী।
সিলেট মহানগর পুলিশসহ সতর্ক অবস্থায় আছে জেলা পুলিশও। বিভিন্ন থানাপুলিশ যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে কঠোর ভূমিকায় আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এমন পরিস্থিতি জনমনে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা। তারা জানতে আগ্রহী কী ঘটছে বৃহস্পতিবার? আবারও কি দেশ কোনো অস্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে? তার শুরু কী আনলাকি থার্টিন বলে খ্যাত ১৩ তারিখ দিয়ে?
সিলেট মহানগীর ইলেক্ট্রি সাপ্লাই এলাকায় থাকেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আশিক উদ্দিন (৪৫)। গত কয়েকদিন থেকেই তিনি আছেন চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায়।
গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে দেখা হলেই জানতে চান, ব্যাপার কী ভাই? কী হতে যাচ্ছে ১৩ নভেম্বর?
নগরীর ব্যবসায়ী বাবর হোসেন বলেন, দেখা যাক কি হয় ১৩ তারিখ? হয় পরিস্থিতি খারাপ হবে, নয় কিছুই না। আমরা ভাই সাধারণ মানুষ। জিনিসপত্র স্বস্তায় খাইতাম, কোনোমতে সুন্দর জীবন যাপন করতাম, অকটাউ আমরার চাহিদা।
এদিকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মার্কেট বিপণীবিতান বা ছোটোখাটো দোকানগুলোর ব্যবসায়ীর মারাত্মক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। ১৩ নভেম্বর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন কি না, এ নিয়েই তাদের মানসিক দ্ব›দ্ব চলছে, যদিও এখন পর্যন্ত সিলেট মহানগরী বা জেলার অন্য কোথাও তেমন কোনো নাশকতা বা অঘটনের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবার (১২ নভেম্বর) অন্যান্য বুধবার থেকে কিছুটা হলেও নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার বা আম্বরখানার মতো গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এলাকা ছিল অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা।
আম্বরখানা এলাকায় ভ্রাম্যমান বাদাম ব্যবসায়ী খালেদ আহমদ (২০) বলেন, আইজ মানুষ নাইবা। ই কিতা অবস্থা? রাইতকুর ভাতওতো জুটানি যাইতনায়।
Leave a Reply